Monday 25 March 2013

উত্তাল মার্চ



 যম পর্ষদের মিটিং বসে,সীমান্তের তীরে
নানা জনের আনাগোনা,কানে কানে কথা,
বঙ্গবন্ধুর মুখে বাংলার ব্যাথা।
      
                                        মার্চ শুরু হয় একটা জনসমুদ্র দিয়ে,
                                       পিল পিল পিঁপড়ার মত মাঠে জমে
                                      হাজার-লক্ষ মানুষ,স্বাধীনিতার  শপথ বুকে ।
                                       

সন্তান,স্বামী-স্ত্রী,ভাই-বোন পরস্পরে
বিদায় নেয় । নব ভিৎ রচনার শপৎ এ
ময়দানে যাবে । হয় শহীদ,নয় স্বাধীনতা ।

                                          সপ্তম দিন । ময়দানে লক্ষ মুখের ভাষা বিস্ফোরিত হয়,
                                           "এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম,এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ।"
                                         মুক্তির শকওয়েব আরও একধাপ এগিয়ে উচ্চারিত হয়,
                                            "এ দেশকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ ।"

             
                   বাংলার শহর, বন্দরে, গ্রামে তীব্র প্রতিবাদ,
                   এবার সত্যই হবে শোষক-শোষিতের বিবাদ। 

যমরাজ মন্ত্র পড়ে নেমে আসে ঢাকার বুকে ।
পঁচিশতম রাত । কট কট রাইফেলের শব্দ,
রক্তাক্ত ঢাকা, জন্ম হয় লালা পতকা ।

                                     সৈনিক নেতা ঘোষণা দেয়, স্বাধীনতা জন্মেছে
                                      আর ভয় নেই । কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-সৈনিক,
                                      যুদ্ধ করে আমৃত্যু নির্ভীক ।

ঘরে ঘরে বাজে বাংলার সুর
গানে-গানে স্বাধীনতার তাল,
এভাবেই যুদ্ধ, মার্চ উত্তাল ।

Tuesday 19 March 2013

ভুল কালে

ক্লান্তি-ক্ষুধা শেষ করে দেয় যত জমানো বটুয়া,
নূর হোসেন, তুমি যতই পেডেল মার কাজ হবেনা ।
জরিনা আর অপেক্ষায় নেই, ভুলেছে সব গতদিন,
মধুমিতার রঙ্গিন পর্দার বদৌলতে ও এখন জেরিন ।

নাম পাল্টেছে, কাল পাল্টেছে, পাল্টেছে দেশ,
তোমার রিকশা ছুঁতে পারেনা মটর গাড়ী ।
ভুল কালে, ভুল তালে, চলে বাংলাদেশ,
তোমার সম্মুখে বিশাল দরজা, ওপারে জেরিনের বাড়ি ।

অভিজাত বাড়ির বসার ঘর,
ভরা আছে হাজার সো-পিচ,দোতলার কাঠের ধাপ,
বৃক্ষশূণ্য নূর হোসেনের গ্রামটাও হলো পর,
জেরিনের দেহময় ঘুরে বেড়ায় ঊর্ণনাভ ।

আজকাল কিছু উট দেখা যায়,
শত ঋণদাতা মুচকে মুচকে হাসে,
সবুজ উজাড় মরু ভেবে কেউ সুখ পায় ।
রঙ্গিন কোমল পানীয় বিশুদ্ধ জল নাশে ।

তোমার দরীদ্র বুক ছিল গণতন্ত্রের শপথে,
স্বৈরতন্ত্র নিপাতের যে ডাক তুমি দিয়েছিলে তা পৌঁছেনি,
ক্ষমতার খোলস বদলে অভিজাত উঠেছে নব রথে,
নাম পাল্টে শুধু জেরিন হয়েছে জেনি ।

নূর হোসেন তোমার রিকশাটা পুড়িয়ে দাও,
রিকশার চেইনটা বানাও গলার মালা,
সারা বাংলায় আগুন জ্বালাও,
চেইন ঘুরিয়ে ভেঙ্গে দাও অভিজাতের কাঁচের দরজা-জানালা ।


লেখক- শাহারীয়ার ওয়াহেদ
গর্জনিয়া,রামু,কক্সবাজার।